Category Archives for গল্প

ঘটোৎকচ বধ

আজকাল বেশ সব মজার মজার মেসেজ আসছে ফেসবুকে। ‘ডজ্ ঘটোৎকচ লভ্ ফ্রগস্!’ – ‘ডু ইউ থিঙ্ক ঘটোৎকচ হাজ এভর বিন এ মিন ফ্রেণ্ড!’ – অথবা মোক্ষম প্রশ্ন যা নন্দকে একটু বিপাকেই ফেলে – ‘ডু ইউ থিঙ্ক ঘটোৎকচ ইজ এ স্টুপিড ফুল!’

পড়তে থাকুন

মাইক্রো বৌ

হপ্তাদুয়েক কেটে গেল। কারো জীবনের নাট মঞ্চে আহামরি কিছু পট পরিবর্তন হল না। চোদ্দ দিন পার করে ব্রজকিশোর ফিরেও এলেন। দরজার আংটায় শব্দ পেয়ে চপলেশ্বরী সজাগ হলেন। বাতে খাওয়া পা টেনে টেনে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বারান্দায় গিয়ে দেখেন ছেলে ট্যাক্সি থেকে কি যেন বেশ যত্ন করে নামাচ্ছে।

পড়তে থাকুন

তীতুমীরের দিদা

তীতুমীরদের বাড়ি পাতিপুকুরে, ততোধিক এক পাতি পাড়ায়। থাকার মধ্যে বাবা, মা আর দিদা। বছর তিনেক হল কাকা জার্মানীতে চাকরি নিয়ে জার্মান মহিলাকে বিয়ে করে ডুমুরের ফুল। আর পিসি বছর দেড়েক আগে বিয়ে করে পাড়ি জমাল ওমানে।

পড়তে থাকুন

পাত্র চাই অর্গ‍্যানিক

দিল্লীর মতো খানদানী জায়গার সম্বন্ধ এক কথায় নাকচ করে দেওয়াতে এবার আর আত্মীয় স্বজন ঘটকের উপর পুরো আস্থা না রেখে ধৈর্য্যের মা, বাবাকে দিয়ে ইংরিজি বাংলা কাগজে দেওয়ালো বিজ্ঞাপন। মাট্রিমোনিয়াল এজেন্সীগুলোতে শুরু হল তাঁক ঝাঁক। বিভিন্ন পোজের ‘ইনা-মিনা-ডিকা’-রা ধৈর্য্যের ঘরের খাট বিছানা, টেবিল-চেয়ার দখল করল। সঙ্গে চলল সুযোগ পেলেই ছেলের কানে মার ফুসুর ফুসুর: ‘অত অধেযর্্য হলে চলে বাবুন? সে দিন আর নেই যে পাত্র পক্ষের ইচ্ছে অনিচ্ছেই শেষ কথা। কোনকালেই এই বিয়ের পাকা দেখা কাজ সহজ ছিল না। এই যে তোর ঠাকুমা, আমায় সহজে কি ছাড়পত্র দিল? পুরো উঠোন চক্কর কাটিয়েছিল, হাঁটা দেখবে বলে। এক ঘর লোক, বলে “কাপড় তোলো,” কি? না, পায়ের গোছ দেখবে ! লক্ষ্মীমন্ত পা কি না!’

পড়তে থাকুন

বটুক বড়ালের বিস্ফোরণ

বটুকবাবুর ব‍্যবহারে অবাকই হলেন অনামিকা। তাঁকে নিয়ে স্বামীর এ জাতীয় ব‍্যস্ততা আজকাল তো ডুমুরের ফুল। নীলাম্বু এগিয়ে এসে বললে, ‘স‍্যর, মানে হয়েছে কি, আজ দুপুরের মুরগীহাটা সাহিত‍্যবাসরে অনামিকা একটা বিশ্রী তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক উঠতি কবি দাবী করে যে মেয়ে কবিদের প‍্যানপ‍্যানানি অসহ‍্য। তো সেই মিচকেপটাশটা বলেছে মহিলা কবিগুলোর হাতে তো এমনিই জোর নেই, ভাবনায় জোশ্ আসবে কি করে! মারকাটারিং কাব‍্য লিখতে গেলে না কি স‍্যর ডাম্বেল ভাঁজা বাহুবল চাই! আমরা সবাই মনে মনে বিরক্ত হচ্ছিলাম। অনামিকা, স‍্যর, মাঝখান থেকে ব‍্যাটাকে হাতকুস্তিতে লড়াই করে নারী বাহুবলীর নেওতা দিয়ে বসলো।’

পড়তে থাকুন

অলীক মানুষ

আড়াই বছরের ছোট্ট পাখির প্রথম স্কুলের দিন। মেয়ের চেয়ে মায়েরই দুশ্চিন্তা ছিল বেশী। স্কুল ছুটি হওয়ার আধঘণ্টা আগেই ঈশানী হাজির কিণ্ডারগার্টেনের গেটে। মেয়ে বেরিয়ে এল গম্ভীর মুখে। দু চোখে এক ফোঁটা করে জল। ব্যস্ত ঈশানীর হাজার প্রশ্নবাণ ছুটে এল। মেয়ে চুপ। শেষে ঈশানী যখন হতাশ হয়ে চুপ করল, মেয়ে জানাল — তার পছন্দের নীল চেয়ারটায় তাকে বসতে দেওয়া হয়নি, একটা বিচ্ছিরি বাদামী রঙের চেয়ারে তাকে বসতে হয়েছে বলে তার একটুও ভালো লাগেনি এই স্কুল।

পড়তে থাকুন

মিঠে কড়া

ক্যালকুটায় আসার আগে ‘জটি’ তাকে বলেছিল এখানে নো ফোঁকাফুঁকি বিজনেস্। কিন্তু তার ফলে তার কোষ্ঠ জ্যামপাক্ট আটকে গেছে। এখন রীতিমত কষ্ট হচ্ছে। পরেশবাবুকে সে ছোট ছোট ব্রাউন সিগার খেতে দেখেছে। সেটা হলেও তার চলবে। এরপর ম্যাটিলডা সরাসরি সাহায্য চেয়ে বসে, ‘মে আই বরো ওয়ান সিগার ফ্রম ইউ, ড্যাডু?’

পড়তে থাকুন

বামুনবাড়ি

প্রতিলিপির প্রতিযোগীতায় দেওয়া আমার ছোটবেলার স্মৃতিকথার গল্প “বামুনবাড়ি”। নীচে দিচ্ছি তার থেকে কিছু লাইন। আপনারা প্রতিলিপির ওয়েবসাইটে গল্পটা পড়ে কমেণ্ট দিন, জানান কেমন লাগলো। আরো অনেকের লেখা স্মৃতি-গল্প পড়তে পারবেন ওদের ওয়েবসাইটে।

পড়তে থাকুন

ফেসবুকের ফাঁদে

এয়ারপোর্টের চত্বরে দাঁড়িয়ে ফেলফেলিয়ে দেখছিলেন কাত্যায়নী। স্বামী বগলে নতুন বৌমা বুনি কেমন দিব্যি চলে গেল চেক-ইন বর্ডারের ওপারে। চোখে আঁচল চাপা দিয়েছেন কি দেননি, কর্তার ব্যাগড়া, ‘আঃ কাতু!’

কাত্যায়নীর গোমড়াপনা মুখের দিকে তাকিয়ে বেয়াই হাসেন। ‘দুঃখু করবেন না, বেয়ান! আজকাল গায়েগায়ে থাকাটা কোনো থাকা নয়। ওই যে বুনি বলে গেল, মা ফেসবুকে থাকবেন। ওইটেই হল মোক্ষম থাকা।’

পড়তে থাকুন

‘দেবযানীর চিঠি’ পেলো দ্বিতীয় পুরস্কার

বন্ধুরা, বাচ্চারা মিলে পিকনিকে বেরিয়েছি সবাই। তুমি ফাঁকা রাস্তায় যথারীতি দিগ্বিদিক ভুলে হাই স্পিড তুললে। সাথে বাচ্চারা আছে! বললাম, ‘অনি, একটু আস্তে!’ তুমি বললে, ‘তুমি আমাকে গাড়ি চালানো শিখিও না!’ সংযত সুরে বললাম, ‘সাবধানের মার নেই।’ তুমি আচমকা ব্রেক কষে গাড়ি সাইড করলে। পেছন ফিরে বললে, ‘তোমার অসুবিধে হলে নেমে যাও!’ বন্ধুরা চুপ। বাচ্চাগুলো অবাক। তাতুন বিরক্ত। আর আমি? বোবা।

পড়তে থাকুন