Category Archives for স্মৃতিকথা

বাঘ বিধবা

“এক যে আছে বন, তার নাম সোঁদরবন। সে বনে কতো রকমের গাস। সুন্দরি, গরান, গেঁওয়া, ধুধুল, শণ, নলখাগড়া, গোলপাতা। বনে কত রকমের পশু পাখি, কি সোন্দর ডাগর ডোগর সিত্রা হরিণ, ঝাঁক বাঁধি ঘুরতিসে। বনের গাছে গাছে ফোটে ফুল, মউমাসির দল বাসা করে। চাক বানায়, চাক ভরে আসে খাঁটি মধু। আমরা মৌয়ালের দল সে চাক কাটি […]

পড়তে থাকুন

শুভ মুহুরত

  আমার স্বামী ওনাকে মাম্মিজি বললেও আমি বলতাম আণ্টিজী। সুযোগ অনেক ছিল নাম জেনে নেওয়ার, কিন্তু হয়ে ওঠেনি। যে সময়ের কথা বলছি, তখন আজকালকার মত টিভি জারনালিজিমের চূড়ান্ত রমরমা নয়। অষ্টপহর অসংখ্য চ্যানেলের দিবারাত্তির কচকচি তখনো পরিমিত। তবে টিভি জারনালিজিমের কারিশ্মা বেড়েছে, বেড়েছে জাঁকজমক। আমার স্বামীও সুযোগ বুঝে সংবাদপত্রের চাকরি ছেড়ে নতুন কাজ খুঁজে নিয়েছে […]

পড়তে থাকুন

বাঙ্গালবাবা এবং আরও বারো

Photo: Shutterstock/Filipe Frazao

“কী পড়িস? বইটা কই? কিস্যু মনে থাকে না যা পড়সস? এত্ত কঠিন যে মাথার উপর দি যায়? যা জিগাইব ভুল! থাউক, আর কাম নাই তর পইর‍্যা। আবার দাঁত কেলাইতেসস? কোপাই দিব!”   সে বহু বছর আগের কাহিনী ফেঁদে বসেছি। সাল উনিশও তিয়াত্তর-চুয়াত্তর হবে। পারিবারিক রেষারেষির শিকার হয়ে সাত ঘাটের জল খেয়ে আমার বাবা শেষ পর্যন্ত […]

পড়তে থাকুন

নিশুত রাত্রির ডাক

রাত তখন আন্দাজ দেড়টা কি দুটো। বরের চাকরি সূত্রে নতুন এসেছি শহর জেনিভায়। নতুন সংসার গুছিয়ে বসতে ধকল তো আর কম না, আচ্ছা আচ্ছা পালোয়ানদেরও কোমর বেঁকে যায়! শুতে শুতে বেশ রাত হয়েছে, ক্লান্ত শরীরে তন্দ্রা নেমেছে, হঠাৎ রাতের নিস্তব্ধতা খান খান করে গুম গুম গুম গুম গুম গুম একটা আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে গেল। প্রথমেই […]

পড়তে থাকুন

বামুনবাড়ি

টুনির জীবনের তিন দশক পার হয়ে গেছে কবেই। দিন যাপনের চালচিত্রের পটেও পড়েছে কাল বদলের কত রূপরেখা। বাবা চলে গেছে। ভাই বোন যে যার মতন ব‍্যস্ত। ব‍্যস্ত টুনি নিজেও, তার উপর বহু বছর দেশছাড়া। দেশের সাথে নাড়ির টানটুকু বলতে একমাত্র মা। মায়ের শরীরটা ভালো যাচ্ছে না জেনেও কাজের চাপে টিকিট করে উঠতে পারছিল না টুনি। […]

পড়তে থাকুন

এপ্রিলের ফুল

বয়েস যখন দু’ কুড়ি পার অথচ মনের বাসনাটা ফুলদল শাখাপ্রশাখায় মেলে উঠছে না কিছুতেই, তখন বুঝলাম ‘গোপন কথাটি রবে না গোপনে।’ মামার নাকের ডগায় হাত ফেলে দিয়ে বললাম, “দ‍্যাখো তো, লেখক টেখক হতে পারব কি না!” মামা কিছুক্ষণ হাতের বদলে মুখ জরিপ করে বলল, “কেন? তুই তো ম‍্যাগাজিন-ট‍্যাগাজিনে লেখা পত্তর দিস মাঝে মাঝে! সে সব […]

পড়তে থাকুন

Indian Diaspora in Europe প্রোজেক্টে আমার প্রোফাইল

প্রখ‍্য‍্যাত সাংবাদিক কৌন্তেয় সিহ্না কিছুদিন আগে আমার একটি ইন্টারভিউ করেন তাঁর Indian Diaspora in Europe প্রোজেক্টের জন‍্য‍। তিনজন ফটোগ্রাফার সাংবাদিক এই প্রোজেক্টের জন‍্য‍ ইউরোপে নানা দেশে বসবাসী ভারতীয়দের নিয়ে ছবি আধারিত রিপোর্ট তৈরী করছেন, যা সঙ্কলিত হবে একটি প্রদর্শনীতে এবং প্রকাশিত হবে একটি বইয়ের আকারে। তাঁর তোলা আমার এই ছবিটি স্থান পেয়েছে এই প্রোজেক্টের Instagram পেজ-এ।

পড়তে থাকুন

দুগ্গা দুগ্গা

শেষে এক গোয়াল বৌ লাল শাড়িতে ভিজে দোপাটি হয়ে আমাকে শুধোলে, ‘খাড়ায়ে ক‍্যান রে, মা?’ বললাম বৃত্তান্ত। ইশারায় সে নিজেই ডেকে নিল গোশালে। দর্মার বেড়া ছাওয়া। কাদা গোবর লেপা। মাচার মাথায় ভিজে খড় বেয়ে টুপটাপ। নিরীহ চোখে বাইরের তাণ্ডব জরীপ করছেন গো মাতা। পেলাম তাঁর কৃপা। কৃপাকণাকে আবার বুকে চেপে ফিরে যেতে হবে আরও সাবধানে। সাত রাজার ধন মানিক পোয়াটাক দুধ নিয়ে বীর বিক্রমে যখন পেছন ফিরলাম, গোয়ালনী মায়ের কণ্ঠে বলে উঠলে, ‘দুগ্গা দুগ্গা।’

পড়তে থাকুন

বামুনবাড়ি

প্রতিলিপির প্রতিযোগীতায় দেওয়া আমার ছোটবেলার স্মৃতিকথার গল্প “বামুনবাড়ি”। নীচে দিচ্ছি তার থেকে কিছু লাইন। আপনারা প্রতিলিপির ওয়েবসাইটে গল্পটা পড়ে কমেণ্ট দিন, জানান কেমন লাগলো। আরো অনেকের লেখা স্মৃতি-গল্প পড়তে পারবেন ওদের ওয়েবসাইটে।

পড়তে থাকুন

খোসলা কা ঘোসলা – দ্বিতীয় পর্ব

এরই মাঝে স্টীন্ আখর দিয়ে আমাদের পরিচিত সুরে শুরু করে দিয়েছে বাড়ির গুণকীর্তন পালা। সুর ধরে ধরে আমরা ড্রইং-ডাইনিং পেরিয়ে কিচেনে পৌঁছলাম। এখানকার অবস্থাও তথৈবচ। টেবিলের উপর পেট কাটা তরমুজ। তার অর্দ্ধেক শাঁস কুরিয়ে খাওয়া হয়েছে। সিঙ্কে গাদাগুচ্ছের এঁটো বাসন। টেরিয়ে টেরিয়ে দেখছি, হঠাৎ ভীষণ দুম্ দুম্ দুম্ দুম্ শব্দে কাঠের মেঝে সহ গোটা ফ্ল‍্যাট থরথরিয়ে কেঁপে উঠল। ভূমিকম্প না কি!

পড়তে থাকুন