ফটো: কৌস্তভ গোস্বামী
বন্ধুগণ, নিজের একটা ছোট্ট পরিচয় দিয়ে আপনাদের সাথে আলাপটা আগে সেরে ফেলি। আমি মৈত্রেয়ী। কিন্তু খাঁটি ব্রহ্মবাদিনী নই। অমৃতের সন্ধানের চেয়ে চিরটাকাল জৈষ্ঠ্য মাসে রোদে শুকোতে দেওয়া মার আচারের বয়াম, ঠাকুমার নুন-ঝাল মাখানো শুকনো আমলকীর শিশি, বাবার আনা জয়নগরের মোয়ার বাক্স, ছেলেবেলা থেকে এই সবেরই সন্ধান করে এসেছি। যখন সমঝদার হলাম, তখন দেখি জীবনের পথ অনেকটাই ওয়ার্ক আউট করে ফেলেছি! দিনগুলো সংসার-সন্তান সামলে কখনো ল্যাজেগোবরে কখনো বা একরাশ গোলাপের পাপড়ির স্মৃতিকথা।
নিজের শক্তি সময় যা দিয়েছি তা আপনজনদেরই দিয়েছি, সেটা নিয়ে আহ্লাদ বা অভিযোগ করবো কেন! কিন্তু তবু মনটা যেন কেমন উদাস বাউলের সুর তোলে। এককালে সাহিতে্যর ছাত্রী ছিলাম বলে বোধহয় কিছু একটা অব্যক্ত ভাব-ভাবনা যা আমার একার বলে মনে হলেও মন মানে না। সে চায় এই ভাবনা সর্বসাধারণের মনের প্রাঙ্গঁণে শরতের কাশের মতো ফুটে উঠুক।
জানি না, শুনেছি একটা বয়সের পর মন অভিজ্ঞ গুরু হয়ে ওঠে। তবে আমার সবই উল্টোপুরাণ! তাই গুরুর আদেশ না গরুর আদেশ তা বোঝা যাবে আমার এই ব্লগ বং ঢং ডট কম্-এ আপনাদের যাতায়তের হিড়িক দেখে। আমি হতে চাই সেই আমার অষ্টাদশী বেলায় ফেলে আসা কলেজের গেটের সামনে বসা লাল পাগড়ি চুমদার গোঁফবিশিষ্ট বেহারী ফুচকাওয়ালার মতন। আমার টক-ঝাল-মিষ্টি লেখাগুলো আপনাদের মনের শালপাতায় টপাটপ পড়বে আর আপনারা গপাগপ তা সাবড়ে দেবেন, তবেই না মজা! কি বলেন?